বাংলারজমিন
ভোটারদের বাড়ি থেকে টেনে এনে ভোট কাস্টের আহ্বান আওয়ামী লীগ নেতার
সরাইল (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি
৮ মে ২০২৪, বুধবারব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলা পরিষদের নির্বাচন আজ। এখানে চেয়ারম্যান পদে ৫ প্রার্থীই আওয়ামী লীগ নেতা। প্রতিদ্বন্দ্বিতা হচ্ছে আওয়ামী লীগের সঙ্গে আওয়ামী লীগের। তারপরও ভোটার উপস্থিতি নিয়ে শঙ্কায় আছেন কর্মী-সমর্থকরা। গত সোমবার অরুয়াইলে ঘোড়া প্রতীকের সমর্থনে অনুষ্ঠিত এক সভায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক ও ইউপি চেয়ারম্যান মো. মিজানুর রহমানের বক্তব্যে বিষয়টি আরও স্পষ্ট হয়েছে। মিজানুর রহমান বলেছেন, রফিক ঠাকুর এক বিজ্ঞ রাজনীতিবিদ ও সালিশকারক। তিনি যোগ্য লোক। তিনি কারও উপকার করতে না পারলেও ক্ষতি করেন না। তিনি ভূমিদস্যু নন। কারও টাকা মেরে খাননি।
তিনি জানান, সরাইল উপজেলায় মোট ভোটার ২ লাখ ৭০ হাজার ৬৬৪ জন। ৬৫১টি ভোটকক্ষে দায়িত্ব পালন করবেন ২ হাজার ৩৭ জন লোক। ৮৪টি কেন্দ্রের মধ্যে ৩০টি অধিক গুরুত্বপূর্ণ। ৯টি ইউনিয়নের প্রত্যেকটিতে একজন করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সর্বক্ষণ টহলে থাকবেন। অতিরিক্ত ম্যাজিস্ট্রেট থাকবেন একজন। এ ছাড়াও ৩ প্লাটুন বিজিবি, ২ গাড়ি র্যাব সদস্য, পুলিশের ৩৪টি ভ্রাম্যমাণ টিম সহ মোট ৫৪৫ জন পুলিশ সদস্য ও পর্যাপ্তসংখ্যক আনসার সদস্য সর্বক্ষণ মাঠে থাকবে। আর নাসিরনগর উপজেলায় মোট ভোটার ২ লাখ ৫৬ হাজার ২৬৬। ১৩টি ইউনিয়নের ৯৩টি কেন্দ্রের মধ্যে ৫৬টিই অধিক গুরুত্বপূর্ণ। নির্বাচনকে অবাধ ও সুষ্ঠু করতে ১২ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, ৫৪৭ জন পুলিশ সদস্য, ৬০ জন বিজিবি সদস্য, ১৬ জন র্যাব সদস্য ও প্রয়োজনীয়সংখ্যক আনসার সদস্য সর্বক্ষণ মাঠে থাকবে। অধিক গুরুত্বপূর্ণ সহ আরও বেশক’টি কেন্দ্রে অতিরিক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। এছাড়াও ওই সকল কেন্দ্রের দিকে প্রশাসনের বিশেষ নজরদারী থাকবে। ইউএনও মো. মেজবা উল আলম ভূঁইয়া ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. সাদেকুল ইসলাম বলেন, দুই উপজেলার কোথাও কোনো ধরনের অনিয়ম বা বল প্রয়োগের সুযোগ নেই। কেউ এই ধরনের কর্মকাণ্ড করার চেষ্টা করলে তার বা তাদের বিরুদ্ধে যখন-তখন কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। জরিমানা নয় জেল হয়ে যেতে পারে।