বাংলারজমিন
নারায়ণগঞ্জে পানির দামে বিক্রি হচ্ছে বাঙ্গি ও তরমুজ
স্টাফ রিপোর্টার, নারায়ণগঞ্জ থেকে
৮ মে ২০২৪, বুধবারগত কয়েকদিন ধরে শিলাবৃষ্টি এবং মেঘলা আবহাওয়ায় বাঙ্গি ও তরমুজ ব্যবসায় ধস নেমেছে। নারায়ণগঞ্জ শহরের প্রধান পাইকারি ফলের আড়তে পানির দামে বিক্রি হচ্ছে বাঙ্গি ও তরমুজ। আড়তগুলোতে বাঙ্গি ও তরমুজ রাখার জায়গা পাচ্ছেন না কৃষক ও পাইকারি ব্যবসায়ীরা। কৃষকরা বলছেন, শিলাবৃষ্টির কারণে তারা তরমুজ ও বাঙ্গি জমি থেকে তুলে বিক্রির জন্য নিয়ে আসছেন আড়তে। কিন্তু ক্রেতা সংকট। বাঙ্গি ও তরমুজের দাম অনেক কমলেও পাইকাররা সেভাবে আসছে না। এতে করে বিপাকে পড়েছেন কৃষকরা। আর আড়তে তরমুজ ও বাঙ্গির সরবরাহ প্রচুর বেড়ে গেছে। এতে দাম নেমে এসেছে অর্ধেকেরও নিচে। সরজমিন মঙ্গলবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ শহরের প্রধান পাইকারি ফলের বাজার চারারগোপে গিয়ে দেখা যায় আড়তে বাঙ্গি ও তরমুজের স্তূপ।
তাই কৃষকরা শিলাবৃষ্টির ভয়ে জমি থেকে তরমুজ কেটে বিক্রির চেষ্টা করছেন। এতে বাজারে প্রচুর পরিমাণ তরমুজের সরবরাহ বেড়েছে। যার কারণে দাম অনেক কমে গেছে। আড়তে তরমুজ বিক্রি করতে আসা খুলনার কৃষক আব্দুল মোতালিব বলেন, চারদিন আগে আমাদের এলাকায় শিলাবৃষ্টি হয়েছে। এখন প্রতিদিনই ঝড়-বৃষ্টি হচ্ছে। তাই নষ্ট হওয়ার ভয়ে জমি থেকে তরমুজ কেটে এই আড়তে নিয়ে আসছিলাম। দু’দিন ধরে ঘাটে ট্রলার ভিড়িয়ে বসে আছি। বেচাবিক্রি তেমন নেই। আগে যে তরমুজ ১০০-১৫০ টাকায় বিক্রি হয়েছে এখন তা ৩০-৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এই দামে তরমুজ বিক্রি করলে আমাদের লোকসান হবে। পাইকারি ফলের বাজার চারাগোপের মায়ের দোয়া ফল ভাণ্ডারের স্বত্বাধিকারী মাসুম মৃধা বলেন, গত শনিবার থেকে তরমুজ ও বাঙ্গির দাম অর্ধেকের নিচে নেমে এসেছে। বাঙ্গি ও তরমুজের অবস্থা খুবই খারাপ। একটি ছোট সাইজের তরমুজ আড়তে ৩০ থেকে ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। গত ৪ দিন আগেও যা ১০০-১৫০ টাকায় বিক্রি হতো। আর যে বাঙ্গি আড়তে ৪০-৬০ টাকায় বিক্রি হতো সেই বাঙ্গি এখন পানির দামে ২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, গত কয়েকদিনের শিলাবৃষ্টি ও বৈরী আবহাওয়ার কারণে কৃষক সব তরমুজ ও বাঙ্গি কেটে একসঙ্গে আড়তে নিয়ে আসছেন, যার কারণে আমরা আড়তে তরমুজ ও বাঙ্গি রাখার জায়গা দিতে পারছি না। বাঙ্গি ও তরমুজ প্রচুর আমদানি হলেও সেভাবে পাইকার নেই। ফলে আমাদেরকে লোকসান দিয়ে বিক্রি করতে হচ্ছে।