প্রথম পাতা
ভোটবিরোধী প্রচারণায় বিএনপি
কিরণ শেখ
৬ মে ২০২৪, সোমবারউপজেলা পরিষদ নির্বাচন বর্জনের পাশাপাশি ভোটারদের ভোট বিমুখ করতে নানা কৌশল নিয়েছে বিএনপি। দলটির পক্ষ থেকে এ সংক্রান্ত কর্মসূচিও পালন করা হচ্ছে। নির্বাচনের দিন সাধারণ মানুষসহ দলীয় নেতাকর্মী ও দলের সমর্থকদের ভোটকেন্দ্রে যেতে নিরুৎসাহিত করতে গণসংযোগ এবং লিফলেট বিতরণ করা হচ্ছে। কেন্দ্রে থেকে লিফলেট ছাপিয়ে উপজেলা, ইউনিয়ন এবং ওয়ার্ডগুলোতে পাঠানো হচ্ছে। উপজেলা, ইউনিয়ন, ওয়ার্ড ও গ্রাম পর্যায়ে কর্মিসভা, মতবিনিময় সভা এবং যৌথ সভাও করা হচ্ছে। এসব কিছু কেন্দ্র থেকে মনিটরিং করা হয়। দেয়া হচ্ছে বিভিন্ন দিকনির্দেশনাও। এই নির্দেশনা বাস্তবায়নে বিভাগীয় সাংগঠনিক টিম জেলা, উপজেলা, ওয়ার্ড এবং পাড়া মহল্লায় সাধারণ জনসাধারণসহ ভোটারদের দ্বারে দ্বারে ছুটছেন। বিএনপি’র আহ্বানে ভোটারদের নির্বাচন বর্জন করে ভোটের দিন ভোটকেন্দ্রে না গিয়ে বাবা-মা, ভাই-বোন, সন্তান, স্বামী-স্ত্রীকে সময় দেয়ার পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।
‘দেশ বাঁচাও, মানুষ বাঁচাও, শ্লোগান নিয়ে ‘দখলদার আওয়ামী সরকারের আসন্ন প্রতারণামূলক ডামি উপজেলা এবং সব স্থানীয় সরকার নির্বাচন বর্জন করুন’- শিরোনামে লিফলেট বিতরণ করছে বিএনপি। এতে ‘বর্তমান অবৈধ সরকারের আমলে কখনোই জাতীয় ও স্থানীয় সরকার কোনো নির্বাচনই অবাধ ও সুষ্ঠু হয়নি’সহ ভোটদান থেকে বিরত থাকার আহ্বানে বিভিন্ন কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু মানবজমিনকে বলেন, ভোট বর্জনের আহ্বানে বিভিন্ন ধরনের কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে। সামনেও এই কর্মসূচি চলবে। রিজভী বলেন, এই সরকারের অধীনে ডামি নির্বাচনে কেউ অংশগ্রহণ করবেন না। এখানে যারা (ঢাকায়) উপস্থিত আছেন, সবাই কোনো না কোনো উপজেলার বাসিন্দা। কেউ এই ডামি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেন না।
বিএনপি’র সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স মানবজমিনকে বলেন, কেন্দ্র বিএনপি’র পরামর্শে আমরা জেলা, ইউনিয়ন এবং ওয়ার্ড থেকে শুরু করে গ্রামে-গ্রামে গিয়ে ভোটারদের ভোট বর্জনের জন্য আহ্বান জানাচ্ছি। কর্মিসভা, গণসংযোগ এবং লিফলেট বিতরণসহ বিভিন্ন ধরনের কর্মসূচি পালন করছি। আমরা ইতিমধ্যে সফলও হয়েছি।
বিএনপি বলছে, ভোট বর্জন আহ্বানে সাধারণ জনগণ সাড়া দিচ্ছেন। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মতো এবারো ভোটকেন্দ্রে যাবে না জনগণ। তবে জনগণ বিএনপি’র ডাকে সাড়া দিয়ে ভোটকেন্দ্রে না গেলেও দলের সিদ্ধান্ত অমান্য করে দলটির নেতারা উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়েছেন। যদিও দলের সিদ্ধান্ত অমান্য করে নির্বাচনের অংশ করায় তাদের দলের প্রাথমিক সদস্য পদসহ সকল পর্যায়ের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। দলের সিদ্ধান্ত অমান্য করায় প্রথম ধাপে ২৬শে এপ্রিল ৭৩ নেতাকে দল থেকে বহিষ্কার করে বিএনপি। একই অভিযোগ ২৭শে এপ্রিল আরও ৩ জন, ২৯শে এপ্রিল আর ১ জন এবং ৩০শে এপ্রিল ৪ নেতাকে বহিষ্কার করে দলটি। এরপর দ্বিতীয় ধাপে উপজেলা নির্বাচনে দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে অংশ নেয়ায় ৬১ নেতাকে দলের সব ধরনের পদ থেকে বহিষ্কার করেছে বিএনপি।
এরা নির্বাচন পছন্দ করেন না । অথচ আন্দোলন করার মোক্ষম ক্ষেত্র নির্বাচন। প্রয়োজন হলে ......