খেলা
ঘরের মাঠে বিশ্বকাপ
রোমাঞ্চের সঙ্গে টেনশনও হচ্ছে জ্যোতির
স্পোর্টস রিপোর্টার
৬ মে ২০২৪, সোমবার২০১৪ সালে প্রথমবারের মতো এককভাবে নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আয়োজন করে বাংলাদেশ। বাংলাদেশ দলের বর্তমান অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি তখন ১৬ বছরের কিশোরি, পেশাদার ক্রিকেটের ধারেকাছেও ছিলেন না। এক দশক পর আবার বিশ্বকাপ আয়োজন করছে বাংলাদেশ, এবার দলের অধিনায়ক জ্যোতি। এতে রোমাঞ্চের সঙ্গে টেনশনও হচ্ছে নারী দলের এই উইকেটরক্ষক-ব্যাটারের। গতকাল রাজধানীর একটি অভিজাত হোটেলে অনুষ্ঠিত হয় বিশ্বকাপের সূচি, ড্র ও ট্রফি উন্মোচন। সিলেটে ব্যস্ত থাকা বাংলাদেশ অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি ও ভারত অধিনায়ক হারমানপ্রীত কৌরকেও উড়িয়ে আনা হয় এই অনুষ্ঠানে। এছাড়া যুব ও ক্রীড়ামন্ত্রী ও বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন ও আইসিসি’র প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জেফ অ্যালারডাইসও উপস্থিত ছিলেন। প্রশ্নোত্তর পর্বে বাংলাদেশ অধিনায়ক জ্যোতির কাছে ঘরের মাঠে বিশ্বকাপ খেলার রোমাঞ্চ এবং সম্ভাবনা নিয়ে প্রশ্ন করা হয়। সেখানে রোমাঞ্চের সঙ্গে বাড়তি টেনশনের কথাও উল্লেখ করেন জ্যোতি। নিগার সুলতানা বলেন, ‘অনেক বেশি রোমাঞ্চিত, তবে বলবো যে একটু টেনশনও কাজ করছে।
কারণ হোম দর্শক থাকবে।
তিনি বলেন, ‘এটা আমি বলতে চাই প্রত্যেকটা খেলোয়াড়ের স্বপ্ন থাকে নিজের দেশে বিশ্বকাপ খেলার। সবাই খেলে, কিন্তু খুবই কম সংখ্যক খেলোয়াড় এটা করতে পারে। আমাদের দলে যারা আছি, এবং কমবেশি হয়তো এখান থেকে সবাই খেলবেন। তারা অনেক বেশি সৌভাগ্যবান যে বাংলাদেশের মাটিতে আমরা বড় টুর্নামেন্টে বাংলাদেশের জার্সি গায়ে প্রতিনিধিত্ব করতে পারব।’ ২০১৪ সালে প্রথম বিশ্বকাপের ১০ বছর পর আবার বিশ্বকাপ আয়োজন করছে বাংলাদেশ। তবে ভেন্যু সেই দুটোই আছে ঢাকা ও সিলেট। একই অনুষ্ঠানে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হোসেন পাপনকে প্রশ্ন করা হয় এ প্রসঙ্গে। উত্তরে পাপন বলেন, ‘কেন দুইটা ভেন্যু, তার এক্স্যাক্ট কারণটা আমি জানি না। পসিবল যতগুলো ভেন্যু ছিল, সব দেখে ওনারা মনে করেছে এই দুই ভেন্যুতেই সবচেয়ে ভালো হয়। শুধু বাংলাদেশের ব্যাপার নয়, আইসিসিও আছে, আমাদের বোর্ডও আছে। আপাতত এই দুইটাকেই যদি আমরা ভালোভাবে আয়োজন করতে পারি, তাহলে ভবিষ্যতে আরও অনেক জায়গায় আয়োজন করতে পারব।’ সাম্প্রতিক সময়ে মাঠের ক্রিকেটে বেশ ভালো করছে বাংলাদেশ। নারী দল উন্মাদনা বাড়লেও গ্যালারিতে খুব বেশি দর্শক দেখা যায় না। সেক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের জন্য ফ্রি টিকিটের ব্যবস্থা করা যায় কিনা প্রশ্নের উত্তরে পাপন বলেন এটা সম্ভব না। তবে বিসিবি নিজ খরচে ফ্রি খেলা দেখানোর উদ্যোগ নিতে পারে। পাপন বলেন, ‘ফ্রি টিকিট এখন বলা মুশকিল। তবে আমরা চেষ্টা করবো। ফ্রি হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম। তবে বোর্ড নিজের উদ্যোগে চেষ্টা করবে যে ওদেরকে মাঠে আনার জন্য। সেটার জন্যে যদি পেমেন্ট করতে হয়, বোর্ড করবে, ওদের পক্ষ থেকে পেমেন্ট করতে হবে না। বিশ্বকাপের কোনো টিকিটই কিন্তু ফ্রি না, এই মেসেজটা আমি সবার জন্যই বলছি।’