ঢাকা, ১৯ মে ২০২৪, রবিবার, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিঃ

বাংলারজমিন

নাগেশ্বরীতে ভুল চিকিৎসায় রোগীর মৃত্যুর অভিযোগ

নাগেশ্বরী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি
৬ মে ২০২৪, সোমবার

কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেঙে ভুল চিকিৎসায় রোগীর মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। স্বজনদের ভয়ভীতি দেখিয়ে মরদেহ দ্রুত নিয়ে যেতে চাপ দেয়ার অভিযোগ উঠেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে।
জানা গেছে, নাগেশ্বরী উপজেলার সন্তোষপুর ইউনিয়নের বিন্নাবাড়ী এলাকার মেকাইল মিয়ার ছেলে রফিকুল ইসলাম (২৬) ঢাকায় রাজমিস্ত্রির কাজ করতেন। এরমধ্যে গলায় সমস্যা দেখা দিলে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হন। সেখানে চিকিৎসা শেষে বাড়িতে চলে আসেন। পরে গত ২৮শে এপ্রিল রাত ১১টার দিকে আবারো ভর্তি হন নাগেশ্বরী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেঙে। পরদিন সকালে হাসপাতালের চিকিৎসক রাউন্ড দেয়ার সময় রোগীকে রাতে সিডিল ইনজেকশন দেয়ার নির্দেশনা দেন। নির্দেশনা অনুযায়ী রাত ৭টা ২৮ মিনিটে রফিকুলকে ইনজেকশন পুশ করে নার্স। আধা ঘণ্টা পরে স্বাস্থ্য কমপ্লেঙের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. সাহেব আলী রাউন্ডে এসে ওই রোগীকে ইনজেকশন মাইলাম ও ইনজেকশন পারকিনিল দিতে বলেন। রাত সাড়ে ৮টায় ইনজেকশন দু’টি তার দু’হাতে পুশ করা হয়। এর কিছুক্ষণ পরে রোগী মারা যায়।
রফিকুলের স্ত্রী সালেহা জানান, ঢাকা থেকে বাড়ি আসার দিন রফিকুল অসুস্থ হয়ে পড়লে রংপুর মেডিকেলে ভর্তি করেন।

বিজ্ঞাপন
গলার সমস্যায় কিছু খেতে পারছিল না। পরে বাড়ি আসার পর নাগেশ্বরী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এখানে সে কথা বলছিল। ইনজেকশন দেয়ার পরপর মারা যায়। অভিযোগ করলে তারা বলে মামলা হবে। রোগী কাটাছেঁড়া করবে। পরে নিয়ে চলে আসেন। বড় ভাই আব্দুল মজিদ বলেন, আমি ওখানে ছিলাম। ডাক্তার আসার পর ইনজেকশন দিলো। ১৫ মিনিট পর মারা গেল। সে ওতোটা অসুস্থ ছিল না। বোন জামাই আশরাফ আলী বলেন, ৩টি ইনজেকশন কেন দেয়া হলো অভিযোগ করায় হাসপাতালে তারা বলে তাহলে লাশ দেয়া হবে না। পোস্টমর্টেম হবে। ভয়ে তারা কিছু বলতে পারে নাই। ওই ডাক্তারের বিচার হওয়া উচিত। 
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেঙের আবাসিক চিকিৎসক ডা. সাহেব আলী বলেন, তাকে আগে সিডিল ইনজেকশন দেয়া ছিল আমি দেখিনি। রোগীর পেট ব্যথা ছিল। এ কারণে পরে দু’টি ইনজেকশন দেয়া হয়। এতে রোগী মারা যাওয়ার কথা নয়। হয়তো অন্য কোনো সমস্যা ছিল। রোগীর লোকজন সেটি গোপন রেখেছে হয়তো। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, কেন তিনি এ ধরনের চিকিৎসা দিয়েছেন সেটা ওই চিকিৎসকই বলতে পারবে। রোগীর স্বজনরা অভিযোগ করলে ব্যবস্থা নেয়া হবে। কুড়িগ্রাম সিভিল সার্জন ডা. মনজুর-ই-মুর্শেদ বলেন, রোগীর স্বজনরা অভিযোগ দিয়ে থাকলে কমিটি করে তদন্ত করা হবে। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। রোগীর সকল কাগজপত্র না দেখে এ বিষয়ে কিছু বলা ঠিক হবে না।

বাংলারজমিন থেকে আরও পড়ুন

আরও খবর

   

বাংলারজমিন সর্বাধিক পঠিত

Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status