ঢাকা, ১৯ মে ২০২৪, রবিবার, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিঃ

বাংলারজমিন

টেকনাফে মোস্তাক হত্যার রহস্য উদ্‌ঘাটন, আটক ৬

টেকনাফ (কক্সবাজার) প্রতিনিধি
৬ মে ২০২৪, সোমবার

কক্সবাজারের টেকনাফে চাঞ্চল্যকর ক্লু-লেস টমটম (অটোরিকশা) চালক মোস্তাক মিয়া হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদ্‌ঘাটন করা হয়েছে। টানা ২০ দিন শ্বাসরুদ্ধকর অভিযান চালিয়ে ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের আটক করতে সক্ষম হন পুলিশ। তারা জিজ্ঞাসাবাদে মোস্তাক হত্যার বর্ণনাও করেছেন পুলিশের কাছে। 
আটককৃতরা হলো- মাস্টারমাইন্ড মো. আব্দুর রহিম (১৯), আব্দুল আমিন প্রকাশ পুতিয়া (১৬), ওমর ফারুক (২৪), ফরিদ আহমদ (৫০), সাদেকুর রহমান (২১) ও নুরুল আমিন (৪৩)। জানা যায়, গত ৩রা মার্চ টেকনাফ পৌরসভাস্থ খায়ুকখালী খালে টমটম চালক মোস্তাক মিয়ার মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয় জনতা পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে গলায় মাটিভর্তি বস্তা বাঁধা অবস্থায় তার মৃতদেহ উদ্ধার করে। নিহত টমটম চালক সাবরাং ইউনিয়নে কাটাবনিয়া এলাকার নুরুজ্জামানের ছেলে। এ ঘটনার পর এলাকাসহ পুরো টেকনাফে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। পরে পুলিশের একটি টিম তদন্ত সাপেক্ষে ঘটনার মাস্টারমাইন্ডসহ জড়িত ছয়জনকে আটক করে। 
টেকনাফ মডেল থানার ওসি মু. ওসমান গনি বলেন, মোস্তাক হত্যা একটি চাঞ্চল্যকর ও ক্লু-লেস হত্যাকাণ্ড ছিল। ঘটনার পরপরই জড়িতদের আটক ও ঘটনার রহস্য উদ্‌ঘাটনে তৎপর হয়ে ওঠে পুলিশ। তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে ওই মামলার মাস্টার মাইন্ডসহ জড়িত ছয়জনকে আটক করতে সক্ষম হয়।

বিজ্ঞাপন
তাদের বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করলে তারা স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয় এবং মোস্তাক হত্যার সঙ্গে নিজেদের সম্পৃক্ততা স্বীকার করেছে। ওসি বলেন, হত্যাকারীরা সবাই আন্তঃজেলা টমটম ছিনতাই চক্রের সদস্য ছিল। ঘটনার দিন চক্রের সদস্য আব্দুর রহিম মোস্তাকের চালিত টমটম গাড়িটি ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্যে পৌরসভার উপরের বাজার মন্দিরের সামনে থেকে যাত্রী বেশে ভাড়া করে। গাড়িটি অলিয়াবাদ কাড়ির মাথা তিন রাস্তার মোড়ে পৌঁছালে চক্রের আরেক সদস্য আব্দুল আমিন প্রকাশ পুতিয়া জহির গাড়িটি থামার সংকেত দেয়। ইয়াবা তল্লাশির নামে মোস্তাককে নামিয়ে ফেলে এবং আবদুর রহিম প্রথমে লোহার রড দিয়ে ভিকটিমের মাথায় বাড়ি মারলে ভিকটিম রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে পড়ে যায়। রহিম ও আমিন ভিকটিমকে টমটমে করে কায়ুকখালী খালের নিকটবর্তী খালি মাঠে নিয়ে যায় এবং সেখান থেকে কাঁধে করে খাল পাড়ে একটা প্লাস্টিকের বস্তার ভেতর কাদা মাটি ভরে ভিকটিমের গলায় বেঁধে লাশ গুম করার উদ্দেশ্যে লাশ কায়ুকখালী খালের পানিতে ফেলে দেয়। পরে লাশের গলায় মাটিভর্তি বস্তা বেঁধে খালের পাড়ে ফেলে দিয়ে তারা টমটমটি নিয়ে উখিয়ায় উপজেলার দিকে রওনা দেয়। সেখানে চক্রের আরেক সদস্য ওমর ফারুকসহ টমটমটি কোটবাজারের ফরিদের কাছে বিক্রি করে দেয়া হয়।

বাংলারজমিন থেকে আরও পড়ুন

আরও খবর

   

বাংলারজমিন সর্বাধিক পঠিত

Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status