অনলাইন
রিমান্ডে লোমহর্ষক জবানবন্দি
রোগীদের রক্ত ঝরিয়ে হাত-পা কেটে পৈশাচিক আনন্দ পেতেন মিল্টন
স্টাফ রিপোর্টার
(২ সপ্তাহ আগে) ৫ মে ২০২৪, রবিবার, ৬:১১ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১২:২২ পূর্বাহ্ন
‘চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এজ কেয়ার’ আশ্রমে ঠাঁই পাওয়া গরীব, অসহায় মানুষের শরীরে পচন ধরলে অ্যানেসথেসিয়া ছাড়া এবং চিকিৎসা বিজ্ঞানের নিয়মনীতি অনুসরণ না করে নিজেই অপারেশন করতেন মিল্টন সমাদ্দার। অসহায় রোগীদের হাত, আঙ্গুল, শরীরের মাংস ব্লেড দিয়ে কেটে ফেলতেন। ব্লেড ছুরি দিয়ে কাটাছেঁড়ার কারণে অসহায় মানুষগুলো অমানবিক কষ্ট পেয়ে আর্তনাদ করতেন। রক্ত ঝরিয়ে, অপারেশনের নামে হাত-পা কেটে পৈশাচিক আনন্দ উপভোগ করতেন মাদকাসক্ত মিল্টন সমাদ্দার। রাজধানীর মিরপুর মডেল থানায় করা মামলায় তিন দিনের রিমান্ডে মিল্টন সমাদ্দার ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশকে এমনটি জানিয়েছে। আজ তার রিমান্ড শেষে আদালতে হাজির করে ডিবি। পরে মানবপাচার আইনের আরেকটি মামলায় তার ৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
ডিবির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেন, মিল্টন সমাদ্দারের মতো সাইকোপ্যাথিক মানুষ কিভাবে মানবতার ফেরিওয়ালা হয়? তা আমাদের বোধগম্য নয়। তিনি নির্যাতন করতেন, ব্লেড ছুরিতে নিজেই অপারেশন করতেন, টর্চার সেলে মানুষকে পেটাতেন তাদের বানর বলে অভিহিত করতেন, পিটিয়ে নিস্তেজ করতেন। তিনি স্বীকার করেছেন যে, এসব করে তিনি পৈশাচিক আনন্দ পেতেন। আমরা তার টর্চার সেল থেকে আলামত জব্দ করেছি।
তিনি বলেন, মিল্টন সমাদ্দার ভয়াবহ অপরাধ করেছেন। একটি দুটি অপরাধ করেননি, তার বিরুদ্ধে উঠা সব অভিযোগ ভয়াবহ। এসব তিনি নিজেই স্বীকার করেছেন। তার একাউন্টে এখনো ১ কোটি ৮৫ লাখ টাকা আছে। এতোগুলো টাকা থাকার পরও তিনি কাউকে চিকিৎসা করাননি। তিনি নিজেই হয়ে গেছেন অপারেশন থিয়েটারের হেড। তার অপারেশন থিয়েটারে থাকতো একটা ছুরি ও কিছু ব্লেড। তিনি এগুলো দিয়ে নিজেই অপারেশন করতেন। এরকম ভয়াবহ, অমানবিক, অসভ্য আচরণ, এটা বাংলাদেশের মানুষের জন্য লজ্জাজনক। যারা তার সঙ্গে জড়িত, যারা পেট্রোনাইজড করেছে, সহযোগিতা করেছে, ফেইসবুকে ফলোয়ার বাড়ানোর জন্য যারা সহযোগিতা করেছে বা ফাউন্ডেশনের মেম্বার তাদের প্রত্যেককে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে।
বিচার বলতে কিছুই হবে না।
তাকে কিছু সরকারি পুরুস্কার দেয়া হয়েছিলো, তা কেড়ে নেয়া হোক, বিচার হবেই, হায়রে মানুষ
ফলোয়ার সহ ওকে ফাসি দিন
মিল্টন নিশ্চয় কারো ছাতার নিচে ছিল। ফলে, মানুষ তাকে ভয় পেতো। ছাতাটা কারা ধরে রেখেছিল?
মিল্টনের উপযুক্ত শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে ।