অনলাইন
বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতি ও আইএফআইসি ব্যাংকের মধ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত
স্টাফ রিপোর্টার
(২ সপ্তাহ আগে) ৫ মে ২০২৪, রবিবার, ৪:০৮ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ৪:০৯ অপরাহ্ন
‘কান্ট্রি চেঞ্জিং ডায়াবেটিস ও মোবাইল ডায়াবেটিস সেবা’ প্রকল্পটির কার্যক্রমসমূহ দেশব্যাপী সম্প্রসারণের মাধ্যমে ডায়াবেটিস ও এর জটিলতা হ্রাস বিষয়ক নাগরিক সচেতনতা তৈরির পাশাপাশি সরকারের এসডিজি (৩ ও ১১) লক্ষ্য পূরণে বিশেষভাবে ভূমিকা রাখার জন্য আইএফআইসি ব্যাংক পিএলসি-এর সঙ্গে বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতির ‘সেন্টার ফর গ্লোবাল হেলথ রিসার্চ’ একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষর করেছে।
সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষর উপলক্ষ্যে আজ রোববার সাড়ে ১১ টায় ইব্রাহিম কার্ডিয়াক হাসপাতালের অরগান ট্রান্সপ্লান্ট ভবনের শহীদ মেজর সালেক চৌধুরী বীর উত্তম সভাকক্ষে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করেন বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতির সভাপতি জাতীয় অধ্যাপক এ কে আজাদ খান ও আইএফআইসি ব্যাংক পিএলসির-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী শাহ এ সারওয়ার।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতির মহাসচিব মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিন। স্বাগত বক্তব্য রাখেন ‘সেন্টার ফর গ্লোবাল হেলথ রিসার্চ’-এর প্রকল্প পরিচালক ডা. বিশ্বজিত ভৌমিক।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী, বাংলাদেশের ৫০ বছর উদযাপন ও প্রধানমন্ত্রী ইন্টারন্যাশনাল ডায়াবেটিস ফেডারেশন কর্তৃক ‘১ম গ্লোবাল অ্যাম্বাসেডর ফর ডায়াবেটিস’ মনোনীত হওয়া উপলক্ষ্যে স্থানীয় সরকার বিভাগ, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ নন-কমিউনিকেবল ডিজিজ কন্ট্রোল প্রোগ্রাম, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, কমিউনিটি ক্লিনিক ও বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতি যৌথভাবে ‘কান্ট্রি চেঞ্জিং ডায়াবেটিস ও মোবাইল ডায়াবেটিস সেবা’ নামের প্রকল্পটি গ্রহণ করেছে। ইন্টারন্যাশনাল ডায়াবেটিস ফেডারেশন, জাইকা ও আইএফআইসি ব্যাংক-এর পাশাপাশি বেশ কিছু দেশী ও আন্তর্জাতিক সংস্থা প্রকল্পটি বাস্তবায়নে সহযোগিতা করছে।
প্রকল্পটির মুখ্য উদ্দেশ্যসমূহ:
১. মোবাইল ডায়াবেটিস সেন্টারের মাধ্যমে দেশব্যাপী ডায়াবেটিস বিষয়ক সচেতনতা তৈরি করা।
২. প্রকল্পের প্রথম ধাপে দেশের দশটি (১০) জেলায় ডিজিটাল অ্যাপের মাধ্যমে ১০-১৫ লাখ মানুষের ঝুঁকি নির্ণয় ও স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন সম্পর্কে পরামর্শ প্রদান, গ্লুকোমিটারের মাধ্যমে এক লাখ মানুষের ডায়াবেটিস শনাক্ত করার পাশাপাশি চার হাজার ডায়াবেটিক রোগীকে বিনামূল্যে শারীরিক চেকআপ, ল্যাব টেস্ট (রক্তে সুগারের তিন মাসের গড়, কিডনি, হার্ট, চোখ, পা, দাঁত পরীক্ষা করা এবং প্রয়োজনে আলট্রাসনোগ্রাম করা) ও চিকিৎসা প্রদান করা। চিকিৎসায় ইনসুলিন দিতে হলে তা বিনামূল্যে প্রদান করা।
৩. প্রধানমন্ত্রীর ‘গ্লোবাল অ্যাম্বাসেডর’ স্বীকৃতিকে স্মরণীয় রাখতে প্রকল্পটির ২০২৪ ও ২০২৫ সালকে ‘গ্লোবাল ডায়াবেটিস অ্যাম্বাসেডর’ বর্ষ ঘোষণা করা।
৪. প্রাপ্ত তথ্যের উপর ভিত্তি করে দেশে প্রথম ডায়াবেটিস ম্যাপিং তৈরি করা। স্থানীয় ডায়াবেটিক সমিতি, সিভিল সার্জেন অফিস, স্থানীয় প্রশাসন ও মেয়র/চেয়ারম্যান যৌথভাবে প্রকল্পটি পরিচালনা করবেন।
বিশ্বব্যাপী ডায়াবেটিস মহামারি আকার ধারণ করেছে। পৃথিবীর অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও ডায়াবেটিস ও অন্যান্য অসংক্রামক রোগসমূহ দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। বর্তমানে বাংলাদেশে ডায়াবেটিক রোগীর সংখ্যা প্রায় ১ কোটি ৩১ লাখ। এই সমঝোতা স্মারকের মাধ্যমে ‘কান্ট্রি চেঞ্জিং ডায়াবেটিস ও মোবাইল ডায়াবেটিস সেবা’ প্রকল্পের মাধ্যমে ডায়াবেটিস নির্ণয়, চিকিৎসা ও প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেয়ার মাধ্যমে ডায়াবেটিসজনিত জটিলতা অনেকটাই লাঘব করা সম্ভব হবে।
।