প্রথম পাতা
আন্দোলন-নির্বাচন
মুখ খুললেন জামায়াতের আমীর
কিরণ শেখ
৪ মে ২০২৪, শনিবারদীর্ঘ দেড় দশক ধরে কঠিন সময় কাটাচ্ছে জামায়াত। মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ফাঁসি হয়েছে প্রায় সব শীর্ষ নেতার। বাতিল হয়ে গেছে নিবন্ধন। স্বাভাবিক রাজনীতিও কার্যত নিষিদ্ধ। কার্যালয়গুলো তালাবদ্ধ। এই পরিস্থিতিতে জামায়াতের আমীরের দায়িত্ব পালন করছেন ডা. শফিকুর রহমান। তিনিও দীর্ঘদিন কারাভোগের পর গত মার্চে মুক্তি পান। এরপরই অংশ নিয়েছেন একাধিক ইফতার পার্টিতে। ছুটে গেছেন দেশের নানা প্রান্তে। অনেক রাজনৈতিক বিশ্লেষকই মনে করেন বাংলাদেশের চলমান বাস্তবতায় জামায়াতের রাজনীতির ভবিষ্যত নিয়ে প্রশ্ন বাড়ছে।
নির্বাচন বর্জন ভুল ছিল না: বিরোধীদলগুলো বিগত নির্বাচন বর্জন কি ভুল ছিল? অনেকেই এখন এ প্রশ্ন তুলছেন। এ ব্যাপারে জামায়াতের আমীর বলেন, আমাদের মূল্যায়ন ও বিশ্লেষণ বর্তমান সরকারের অধীনে নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করে আমরা নির্বাচন বর্জনকারী দলসমূহ সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছি। মূলত দেশে ৭ই জানুয়ারি কোনো নির্বাচন হয়নি। দেশের জনগণ এই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেনি। সরকার প্রশাসনকে ব্যবহার করে পুনরায় ক্ষমতা দখল করেছে মাত্র। তিনি বলেন, বিগত ১৫ বছর ধরে দেশে কোনো নির্বাচন নেই। নির্বাচনের নামে প্রহসন করে ক্ষমতা দখল করা হয়েছে মাত্র। এ পরিস্থিতি অবসানের লক্ষ্যে কেয়ারটেকার সরকার প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের ব্যবস্থা করার জন্য আমরা কাজ করে যাচ্ছি।
জামায়াত ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের পক্ষে: একসময়কার জোটসঙ্গী বিএনপি এবং জামায়াত। তবে সে সম্পর্ক আর আগের মতো নেই। সর্বশেষ আন্দোলনে বিএনপি’র সঙ্গে মিলিয়ে কর্মসূচি দিলেও যুগপৎ আন্দোলনে ছিল না জামায়াত। দৃশ্যত বিএনপিই জামায়াতের সঙ্গে এক ধরনের দূরত্ব বজায় রাখছে। জামায়াত নিয়ে দেশি-বিদেশি কিছু শক্তি ও দলের আপত্তির কারণেই এটা ঘটেছে। যদিও জামায়াতের আমীর মনে করেন ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন প্রয়োজন। তিনি বলেন, সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য হাসিলের জন্য বিশেষ করে জনগণের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে জামায়াত ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের পক্ষে। আন্দোলনে জামায়াতের ভূমিকা প্রসঙ্গে ডা. শফিকুর রহমান বলেন, যত দিন পর্যন্ত দেশের মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠিত না হবে, তত দিন আমাদের আন্দোলন অব্যাহত থাকবে। জামায়াত তার পরিকল্পনা অনুযায়ী ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে।
জামায়াতের সমর্থন বেড়েছে: বিপর্যস্ত এই পরিস্থিতি থেকে কি জামায়াত ঘুরে দাঁড়াতে পারবে? এমন প্রশ্নের জবাবে ডা. শফিকুর রহমান বলেন, জামায়াত একটি আদর্শবাদী দল। জেল, জুলুম, নির্যাতন, গ্রেপ্তার ও হত্যা করে একটি আদর্শবাদী আন্দোলনকে দমানো যায় না। বিগত ১৫ বছর ধরে বর্তমান সরকার জামায়াতের হাজার হাজার নেতাকর্মীকে কারাবন্দি করে জুলুম-নির্যাতন চালিয়েছে। জামায়াতে ইসলামীর সাবেক আমীর, নায়েবে আমীর, সেক্রেটারি জেনারেল, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ও কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্যসহ শীর্ষ নেতৃবৃন্দকে ফাঁসি দিয়েছে। জামায়াত সকল পরিস্থিতি মোকাবিলা করে তার আদর্শিক আন্দোলন অব্যাহত রেখেছে। জনগণ জামায়াতের প্রতি সহানুভূতিশীল হয়েছে। জামায়াতের সমর্থন বৃদ্ধি পেয়েছে। জামায়াত ক্রমেই একটি শক্তিশালী সংগঠনে পরিণত হয়েছে। কাজেই চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে আল্লাহর অশেষ রহমতে এবং জনগণের সমর্থন ও ভালোবাসা নিয়ে জামায়াত ঘুরে দাঁড়াতে সক্ষম হবে, ইনশাআল্লাহ। জামায়াতের ভবিষ্যত রাজনীতি সম্পর্কে তিনি বলেন, জামায়াত বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ ইসলামী সংগঠন। আমাদের কার্যক্রম শুধুমাত্র রাজনীতি ও নির্বাচনের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। জামায়াতের অন্যতম প্রধান কাজ হলো দেশের মানুষকে ইসলামের সঠিক শিক্ষা দেয়া এবং কোরআন-সুন্নাহর আলোকে সত্যিকার মানুষ হিসেবে তৈরি করা। এজন্য জামায়াত মানুষকে সহিহ-শুদ্ধভাবে কোরআন শিক্ষা দেয় এবং তাদের নৈতিক ও চারিত্রিক সংশোধনে ভূমিকা রাখে। এছাড়া জামায়াতের অন্যতম কর্মসূচি হলো দেশের জনগণের সেবা করা তথা দুর্গত ও দুস্থ মানবতার কল্যাণ করা। জামায়াত দারিদ্র্যমুক্ত দেশ গড়ার জন্য দরিদ্র ও অসহায় মানুষকে আর্থিক সহায়তা দেয়, অসুস্থ লোকদের চিকিৎসাসেবা দেয় এবং ছাত্রছাত্রীদের শিক্ষা সহায়তা প্রদান করে। জামায়াত দেশের জনগণের ভোটাধিকার, গণতন্ত্র, আইনের শাসন, মানবাধিকার, ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা, অর্থনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক কার্যক্রমসহ জনগণের সার্বিক মুক্তির লক্ষ্যে আন্দোলন করে যাচ্ছে। উপরোল্লেখিত কাজগুলোই জামায়াতের স্বাভাবিক নিয়মতান্ত্রিক কাজ। এ কাজে জামায়াত নিজেদের নিয়োজিত রেখেছে। তিনি বলেন, আমাদের রাজনৈতিক কৌশল অত্যন্ত পরিষ্কার। আমরা নিয়মতান্ত্রিক, গণতান্ত্রিক ও শান্তিপূর্ণ উপায়ে কাজ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। জামায়াত জনগণের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ঐক্যবদ্ধভাবে শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে বিশ্বাসী। দলের নিবন্ধন সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বাংলাদেশের সংবিধান অনুযায়ী যেকোনো ব্যক্তির সভা-সমাবেশ ও রাজনৈতিক দল করার অধিকার আছে। সেক্ষেত্রে এই অধিকার হরণ করার কোনো সুযোগ নেই। জামায়াত নিবন্ধন লাভ করার পর সরকারের মদদে জামায়াতের নিবন্ধনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়। সর্বশেষ উচ্চ আদালত আমাদের আপিল ‘ডিসমিস ফর ডিফল্ট’ করে দেয়। এ পরিস্থিতিতে আমাদের আইনজীবীগণ আইনি দিক বিশ্লেষণ করে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন।
Wishing to go ahead.
সম্মানিত আমীরে জামায়াত যথার্থ বলেছেন। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী জিন্দাবাদ।
“আমাদের কার্যক্রম শুধুমাত্র রাজনীতি ও নির্বাচনের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। জামায়াতের অন্যতম প্রধান কাজ হলো দেশের মানুষকে ইসলামের সঠিক শিক্ষা দেয়া এবং কোরআন-সুন্নাহর আলোকে সত্যিকার মানুষ হিসেবে তৈরি করা। এজন্য জামায়াত মানুষকে সহিহ-শুদ্ধভাবে কোরআন শিক্ষা দেয় এবং তাদের নৈতিক ও চারিত্রিক সংশোধনে ভূমিকা রাখে। এছাড়া জামায়াতের অন্যতম কর্মসূচি হলো দেশের জনগণের সেবা করা তথা দুর্গত ও দুস্থ মানবতার কল্যাণ করা। জামায়াত দারিদ্র্যমুক্ত দেশ গড়ার জন্য দরিদ্র ও অসহায় মানুষকে আর্থিক সহায়তা দেয়, অসুস্থ লোকদের চিকিৎসাসেবা দেয় এবং ছাত্রছাত্রীদের শিক্ষা সহায়তা প্রদান করে। জামায়াত দেশের জনগণের ভোটাধিকার, গণতন্ত্র, আইনের শাসন, মানবাধিকার, ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা, অর্থনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক কার্যক্রমসহ জনগণের সার্বিক মুক্তির লক্ষ্যে আন্দোলন করে যাচ্ছে। উপরোল্লেখিত কাজগুলোই জামায়াতের স্বাভাবিক নিয়মতান্ত্রিক কাজ। এ কাজে জামায়াত নিজেদের নিয়োজিত রেখেছে।” -জামায়াত আমীরের সাক্ষাৎকারের এই অংশটুকু যদি তথাকথিত রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বুঝতো তাহলে তারা জামায়াতের ভবিষ্যৎ অন্ধকার দেখতো না। আম্লিগ-বিএনপির মত শুধু ক্ষমতায় যাওয়া যে জামায়াতের লক্ষ্য-উদ্দেশ্য না সেটা তারা কবে বুঝবে আল্লাহই জানেন। প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে শুরু করে নগর পর্যন্ত জামায়াত তাদের নিয়মতান্ত্রিক কাজগুলো পালন করে যাচ্ছে। জামায়াতের বর্তমান জনসমর্থন সেটাই প্রমাণ করে। এই বিশ্লেষকরা জাতীয় পার্টির সাথে যদি জামায়াতকে তুলনা করে তাহলে তাদেরকে পুনরায় পড়ালেখা করে আসা উচিৎ।
Jamat-e-islami akti adorshik dol,adorsher upor otol thakle bijoy insha allah hobe-e-
Insha Allah, Bangladesh will be Islamic country soon and Jamaate Islami will be the pioneer in this movement, Ameen
বাংলাদেশের ১০০% মানুষ জামায়াত করে।
জামায়াত নেতাদের ফাঁসি দেওয়ার মাধ্যমে মূলত জামায়াতকে শেষ করে দেওয়ার ষড়যন্ত্র ছিল। আল্লাহর রহমতে জামায়াত আরো শক্তিশালি হয়েছে। ছোট একটি উদহারন দিলে বিষয়টি বুঝতে পারবেন, জামায়াত নেতাদের ফাঁসি দেওয়ার সময় জামায়াতে রুকন সংখ্যা ছিল ৩০০০০ আর এখন ৯৩০০০।
jamate islam akti adorsik dol ja tader kormi der dekhlei bujajay
সুন্দর ও খোলামেলা সাক্ষাতকারের জন্য উভয়কেই ধন্যবাদ
জামায়াতের উদ্দেশ্য দেশে কোরআন এর আইন অর্থাৎ আমরা যেমন নামাজ পরি, রোজা রাখি কোরআনে আইন মেনে তেমনি যদি কেউ অপরাধ করে তার শাস্তি কোরআনে তা আছে তাই হবে যেহেতু মানুষ আল্লাহ তাআলা সৃষ্টি করেছেন তাই অপরাধে সঠিক পরিমাপ এক মাত্র আল্লাহ তায়ালা ই জানেন, মানুষ আইন দ্বারা যদি শাস্তি দেয়া হয় তাহলে অবশ্যই কম-বেশি হবে এবং অর্থনীতি সহ সব নীতিমালা হবে ইসলামী আইন অনুযায়ী।
আল্লাহর সাহায্য পেলে মানুষের সাহায্য অটো হয়ে যায়।
১৯৭১ সালে জামায়াতের বিগত আমির নায়েবে আমির ও দণ্ডপ্রাপ্ত শীর্ষ নেতৃত্ব বিষয়ে জামায়াত কখনও সরাসরি সহজ সরলভাষায় কথা বলেনা। ১৯৭১ সালে তাদের দোষনীয় রাজনীতি বিষয়ে সহজ সরল ভাষায় স্বীকার করে নিয়ে জাতির কাছে ক্ষমা চাইতে হবে। বিশ্বরাজনীতিতে সৌদি আরবের রাজনৈতিক দর্শনের পরিবর্তন ঘটায় জামায়াতেরও রাজনৈতিক দর্শন পরিবর্তিত হয়ে মার্কিনমুখি হতেই হবে।
জামাত কে এত হাইলাইট করা কেন
জামায়াতে ইসলামী দুনিয়া এবং আখেরাতের মুক্তি শান্তি আর কল্যান নিশ্চিতে দুর্গম দুঃসহ পথচলা এক বিপ্লবি কাফেলা। শত নির্যাত নিবর্তন নিপীড়নকে চলার পথের এক নিষ্ঠুর সঙ্গী হিসাবে গননা করেই জামায়াত পথ চলছে এবং চলবে ইসলামের সুমহান আদর্শের নকশা ধরে। অতএব জামায়াতের দুর্জয় অভিযাত্রা রুখতে যত অপবাদ অপাচার অভিযোগ অপবাদের পাহাড় নির্মান করুক সেই পাহাড় অতিক্রম করে নির্দিষ্ট লক্ষ্য পানে ছুটে যাবে জামায়াত নির্ভিক চিত্তে নিঃশঙ্ক মনে দুর্বার গতিতে ইনশাআল্লাহ।