খেলা
যে সুযোগ হাতছাড়া করলো বাংলাদেশ
স্পোর্টস রিপোর্টার
৪ মে ২০২৪, শনিবারটি-টোয়েন্টিতে প্রতিপক্ষকে সর্বনিম্ন ৬০ রানে অলআউট করেছে বাংলাদেশ। সেটি ২০২১ সালে মিরপুরে নিউজিল্যান্ডকে। রেকর্ডটি গতকাল নতুন করে লেখানোর সুযোগ ছিল বাংলাদেশের সামনে। ৭.৪ ওভারে ৪১ রানে সপ্তম উইকেট হারায় সফরকারীরা। কিন্তু এরপরেই প্রতিরোধ গড়ে দলটি। জিম্বাবুয়েরও শঙ্কা ছিল টি-টোয়েন্টি ইতিহাসে সর্বনিম্ন রানে অলআউট হওয়া নিয়ে। টি-টোয়েন্টিতে জিম্বাবুয়ের সর্বনিম্ন স্কোর ৮২। এ বছরই কলম্বোয় শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ১৪.১ ওভারে গুটিয়ে গিয়েছিল দলটি। কিন্তু ৮ম উইকেটে ওয়েলিংটন মাসাকাদজা ও মাদান্দের ৭৫ রানের জুটিতে সেই শঙ্কা দূর করে জিম্বাবুয়ে। চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে অষ্টম উইকেটে মাসাকাদজা-মাদান্দের ৬৫ বলে ৭৫ রানের অবিশ্বাস্য জুটিতে ভর করে জিম্বাবুয়ে শুধু লজ্জাই এড়ায়নি, সম্মানজনক পুঁজিও দাঁড় করায় সফরকারীরা।
দীর্ঘ ১৮ মাস পর জাতীয় দলে ফেরা সাইফুদ্দিন আক্রমণে এসেই দলকে সাফল্য এনে দেন। প্রথম ওভারের শেষ বলে তিনি ফেরান অভিষিক্ত জয়লর্ড গাম্বিকে। ১৪ বলে ১৭ রানে আউট হন তরুণ এই ওপেনার। ষষ্ঠ ওভারে শেখ মেহেদীর প্রথম দুই বলে দুই উইকেটে বিপদ আরও বাড়ে জিম্বাবুয়ের। অবশ্য প্রথমটা রান আউট। তড়িঘড়ি রান নেয়ার চেষ্টায় ছিলেন বেনেট। মাহমুদউল্লাহ সেই সুযোগ দিলেন না। তার থ্রোতে রান আউট করেন উইকেটকিপার জাকের আলী। ১৫ বলে ১৬ রানে সাজঘরে ফিরেছেন বেনেট। পরের বলে মেহেদীর বলে স্লিপে লিটনের হাতে ক্যাচ দিয়ে বিপদ আরও বাড়ান অধিনায়ক সিকান্দার রাজা। মেহেদীর করা ষষ্ঠ ওভারে পরপর দুই উইকেটের পর সপ্তম ওভারেও একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি।
এবার দুই উইকেটই তুলে নিলেন পেসার তাসকিন আহমেদ। দলীয় ৪১ রানে সপ্তম উইকেট হারানোর পর ৭৫ রানের জুটি গড়েন মাসাকাদাজা ও মাদান্দে। দলীয় ১১৬ রানে মাদান্দেরে ৪৭ রানে ফেরান তাসকিন। ওয়ালিংটন মাসাকাদজা একপ্রান্ত আগলে রাখলেও অপরপ্রান্তের মুজরাবানির উইকেট তুলে দেন সাইফুদ্দিন। দীর্ঘ প্রায় ১৬ মাস পর জাতীয় দলে ফেরা এই পেসার পুরো ইনিংসেই দারুণ বোলিং করেছেন। চার ওভারে মাত্র ১৫ রান দিয়ে এই পেস বোলিং অলরাউন্ডার নিয়েছেন তিন উইকেট। চার ওভারে ১৪ রান দিয়ে সমান তিন উইকেট পেয়েছেন তাসকিন আহমেদ। দুটি দখলে নিয়েছেন শেখ মেহেদী হাসান। বাকি দুটি কাটা পড়েছে রান আউটে। জিম্বাবুয়েকে ১২৪ রানে অলআউট করার ম্যাচেও প্রায় ওভারপ্রতি দশ রান করে দিয়েছেন শরিফুল ইসলাম ও স্পিনার রিসাদ হোসেন। দু’জনেই চার ওভার বোলিং করে সমান ৩৭ রান দেন।