অনলাইন
ব্রাজিল থেকে জীবন্ত গরু আনা সম্ভব, তবে প্রক্রিয়া জটিল: রাষ্ট্রদূত
কূটনৈতিক রিপোর্টার
(১ সপ্তাহ আগে) ২৫ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার, ৯:৩৯ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১২:০৭ পূর্বাহ্ন
আসন্ন ঈদ-উল আজহার আগে জ্যান্ত গরু পাঠাতে ব্রাজিলকে অনুরোধ করেছে বাংলা দেশ। দূরত্ব বিবেচনায় বিষয়টি জটিল। তবে চাইলে এটি সম্ভব বলে জানিয়েছেন ঢাকায় নিযুক্ত দেশটির রাষ্ট্রদূত পাওলো ফার্নান্দো দিয়াস ফেরেস। বুধবার (৬ মার্চ) জাতীয় প্রেসক্লাবে ডিপ্লোমেটিক করেসপনডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ (ডিক্যাব) আয়োজিত অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন ব্রাজিলের রাষ্ট্রদূত। ডিকাব প্রেসিডেন্ট নুরুল ইসলাম হাসিবের সভাপত্বি ও সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আশিকুর রহমান অপু। ডিকাব টক অনুষ্ঠান রাষ্ট্রদূত বলেন, ব্রাজিলে মাংস খাতে বাংলাদেশে বিশাল সম্ভাবনা আছে। ব্রাজিল গরুর মাংস রপ্তানি করে থাকে। এটা বাংলাদেশের সঙ্গে একটি ভালো বাণিজ্য হতে পারে। এর মধ্যে দিয়ে উভয় পক্ষই লাভবান হবে। ব্রাজিল থেকে বাংলাদেশের ভৌগলিক দূরত্ব অনেক বেশি।
প্রধানমন্ত্রীর ব্রাজিল সফর প্রসঙ্গে রাষ্ট্রদূত পাওলো ফার্নান্দো বলেন, জুলাইতে প্রধানমন্ত্রী ব্রাজিল যাবেন। তিনি জি-২০ সম্মেলনের আগে ব্রাজিল সফর করবেন। যদি তিনি ব্রাজিল যান তাহলে আমাদের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সফরে যে চুক্তিগুলো সম্ভব হয়নি তা হয়ত স্বাক্ষর হতে পারে। বাংলাদেশ ও ব্রাজিলের মধ্যে বাণিজ্যের বিশাল সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানান পাওলো ফার্নান্দো। তিনি বলেন, দুই দেশের মধ্যে ৫ বিলিয়ন ডলারের বাণিজ্য বিদ্যমান। আমরা বাণিজ্য ভারসাম্য ও বৈচিত্র্য আনতে চাই। ব্রাজিলের বাজারে বাংলাদেশি তৈরি পোশাকের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে জানিয়ে রাষ্ট্রদূত বলেন, ব্রাজিল বাংলাদেশি আরএমজি পণ্যের একটি বড় বাজার হতে পারে। ব্রাজিলের বাজারে বাংলাদেশের পোশাক পণ্য শুল্ক বেশি দিতে হয় । এই শুল্ক কিভাবে কমানো যায়, সেটা নিয়ে আমরা কাজ করছি। তবে এই কাজটি খুব সহজ নয়। এটা ধাপে ধাপে হবে বলে আশা করি। রাষ্ট্রদূত বলেন, ব্রাজিল বাংলাদেশের সঙ্গে সামরিক সহযোগিতা বাড়াতে আগ্রহী । তবে এটা শুধু বাণিজ্যের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়, এতে কারিগরি সহযোগিতা থাকবে। এটা হলে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক আরও বাড়বে। দুই দেশের মধ্যে বিশেষ করে, বাণিজ্য ও প্রযুক্তির ক্ষেত্রে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা জোরদার করার বিশাল সুযোগ রয়েছে। রাষ্ট্রদূত বলেন, বিশ্বে বিভিন্ন সংকটের মাঝে বাংলাদেশের সঙ্গে ব্রাজিলের সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় হচ্ছে। ভারত ব্রাজিল থেকে প্রচুর ইথানল কেনে কোভিডের পর ইউক্রেন যুদ্ধ, ইজরায়েল-ফিলিস্তিন যুদ্ধসহ বিভিন্ন কারণে অস্থির হয়ে পড়েছে। জ্বালানী তেলের দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাই তেলের বিকল্প হিসেবে ইথানল ব্যবহার সস্তা হবে।
ব্রাজিলের রাষ্ট্রদূত জানান, ব্রাজিল ভ্রমণে বাংলাদেশিদের সংখ্যা বাড়ছে। বাংলাদেশ থেকে প্রতি মাসে ২৫০-৩০০ ভিসার আবেদন হয়ে থাকে। তবে আমরা প্রতি মাসে ১০০টি ভিসা ইস্যু করতে পারি। সেজন্য ঢাকায় একটি ভিসা সেন্টার খোলার উদ্যোগ নিয়েছি। আগামী কয়েকমাসের মধ্যেই আমরা একটি ভিসা সেন্টার খুলতে পারবো বলে আশা করছি।
বাংলাদেশের কোম্পানি ব্রাজিল স্থাপন করলে সেই কোম্পানি বাংলাদেশের মানুষের আবার গলা কাটবে। কারন বাংলাদেশের কোম্পানি
ব্রাজিলে আমাদের দেশীয় কোম্পানীর স্থাপন করে তার মাধ্যমে প্রসেস করে মাংস আনা যেতে পারে, এতে হালাল নিশ্চত করা সম্ভব।